বেতন কাঠামো সংশোধনের দাবিতে বর্তমান কালের সবচেয়ে বড় শিক্ষক আন্দোলনের সাক্ষী থাকল কল্লোলিনী কোলকাতা
৭ই অগাস্ট, ২০১৮ , মঙ্গল বার, কোলকাতা ঃ তাঁদের সকলেরই যোগ্যতা মান উচ্চ মাধ্যমিক ( ৫০ %) সাথে করতে হয়েছে ২ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স কিন্তু সরকারি খাতাই তাদের বেতন ক্রম সেই মাধ্যমিক যোগ্যতার !
অথচ সরকারি নিয়ম আনুসারে এখন প্রাথমিক শিক্ষক হতে হলে নুন্যতম যোগ্যতা মান কিন্তু উচ্চ-মাধ্যমিক !!
কিছুতেই যেন মেলেনা এ হিসাব। সরকারের কাছে বহুবার এই বঞ্চনার কথা তুলে ধরলেও বিশেষ কিছু কাজ হয়নি ... আর এখান থেকেই শুরু দাবির।
![]() |
বেতন বঞ্চনার বিরেদ্ধে সমাবেশ প্রাথমিক শিক্ষকদের |
সেই বেতন বঞ্চনার দাবিতেই গঠন হয়েছে UUPTA ( USTHI UNITED PRIMARY TEACHERS ASSOCIATION ) সংগঠনের পক্ষ থেকে যানা গেল এর আগে ওনারা প্রতি জেলায় জেলায় ডেপুটেসন এর মাদ্ধমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন,কিন্তু কোনরূপ সদর্থক কিছু আশার আলো সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া যাইনি !!
সরকার পক্ষ অবশ্য এ বাপ্যারে সেরকম কিছু বলতে ছাইছে না। তবে শিক্ষক দের দাবি যে ন্যায্য তা মানছেন উপর মহলের প্রত্যেকেই।
UUPTA এর সদস্য দের সাথে কথা বলে যানা গেল এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০ টাকা কম পাচ্ছেন তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে আর সেই বঞ্চনা দীর্ঘকাল থেকে চলে এলেও কোনরূপ সংশোধনের সদিচ্ছা দেখাইনি কোন সরকারই।
আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ১০,০০০ টাকা কম বেতন পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকরা ।
খোঁজ নিয়ে যানা গেলো বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকরা যে বেতন ক্রম পান তা হল ৫২০০-২৫,৪০০ সাথে গ্রেড পে ২৩০০-২৬০০, যেখানে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্য শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে শিক্ষকদের বেতন ক্রম সংশোধন করে যা বর্তমানে ৯৩০০-৩৪৮০০ সাথে গ্রেড পে ৪২০০।
অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকরা NCTE RULES মেনে নিজেদের যোগ্যতা বাড়ালেও বাড়েনি তাদের বেতন।
এমনকি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) পরিচালিত মাদ্রাসার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদেরও বেতন কাঠামো ৭০০০-৩০০০০ সাথে গ্রেড পে ৩২০০ !!
এখান থেকেই শুরু ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন । আর সেই বঞ্চনার প্রতিবাদেই পথে নামতে হল তাদের। ৭ই অগাস্ট ঝড়বৃষ্টি কে উপেক্ষা করে তারা সবাই আজ হাজির রানি রাস মনি অ্যাভেন্যু তে। দাবি একটাই - " অবসান হোক দীর্ঘদিনের এই বেতন বঞ্চনার" ।
![]() |
মিছিলে শিক্ষকরা |
পড়ুন - বৃষ্টির জলে ভেসে গেল আস্ত দোতলা বাড়ি - বাকুড়াতে।
আর আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে যানা গেল, তারা প্রত্যেকেই নিয়ম মেনে ছুটি নিয়েই আন্দোলন এ অংশগ্রহণ করেছেন।
এদিন কার জমায়েত ছিল নজর কাড়ার মত । বর্তমান কালে বাম-ডান কোন শিক্ষক সংগঠন এই বিপুল পরিমান শিক্ষক কে একসাথে পথে নামাতে পেরেছে কিনা সন্ধেহ!! আর তাই শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ! যদিও বাম-ডান সবারই দাবি তারাও সরকারের কাছে বেতন কাঠামো সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রসঙ্গত, আজকের জমায়েত দেখে যে কোন সরকারেরই চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক কারন- সম্ভবত শাসকদলের ২১শে জুলাই এর পর অরাজনৈতিক ভাবে এত বড়ো জমায়েত কোন রাজনৈতিক দল ই পেরে উঠেনি ইদানিং কালে। জমায়েত ছিল আগাগোড়া শৃঙ্খলা পরায়ন।
[ পড়ুন ও সাহায্য করুন আপনার এলাকার মেয়েটিকে - অপর্ণা মাহাতো ও জীবন যুদ্ধের বাস্তবিক কাহিনী ]
সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫০০০০ জমায়েত এর দাবি করা হয়েছে। পুলিস এর আনুমান বেলা ১২টা নাগাদ জমায়েত ৩৫-৪০ হাজার এর কাছাকাছি। যদিও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আন্দোলনকারীদের অংশগ্রহণ ও বেড়ে চলে ক্রমাগত।
মিছিল বেলা ১১টা নাগাদ শুরু হয় ...সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ার থেকে রানি রাস মনি অ্যাভেন্যু পর্যন্ত। সেখানেই বেলা ১২ টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় সভা। উপস্থিত ছিলেন সামাজের বিভিন্ন স্তরের বুদ্ধিজিবি ব্যাক্তি । এছাড়াও আওহান জানান হয়েছিল বাম-ডান নির্বিশেষে সমস্ত শিক্ষক সংগঠনকে।
এবার দেখার সরকার কি ভাবছে শিক্ষকদের এই ন্যায্য দাবির ব্যাপারে।
সংগত দাবি।সরকারের উচিত মেনে নেওয়া এবং আশা করি সরকার মেনে নেবে।
ReplyDeleteএবার তো সরকারের মেনে নেওয়া উচিত।
ReplyDeleteসরকারের শিক্ষকদের কথা ভাবা উচিত। বেতন বৈষম্য থাকা উচিৎ নয়। সম যোগ্যতার পাশাপাশি সময় বেতন ও জরুরী।
ReplyDeletehttps://youtu.be/VIZdLMfQlFg
Next e one lakhs hbe ....me to also
ReplyDeleteTeacher is our GURU.
DeleteNobody can refuse it
I have many teachers as my GURU
Like your teacher.
And it is all teachers lawful right.
prapyo dabi theke kaoke bonchito kora uchit noi....besi kore share korte hobe ei bonchonar kotha
ReplyDeleteWe r hopefully
ReplyDeleteWe r hopefully
ReplyDelete