Digital Barta

Digital Barta - An online news portal 24Hours at your service. Here we Value the Genuine news only.

Don't Miss! Grab the Deal Now

Breaking

Sunday, 4 August 2019

সরকারের ছল চাতুরির শিকার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা ! ক্ষোভে ফুসঁছেন প্রত্যেকে ! বেতন বৈষম্য মেটানোর নামে শুধুমাত্র গ্রেড পে বৃদ্ধি !

বেতন  বৈষম্য মেটানোর  নামে শুধুমাত্র গ্রেড পে বৃদ্ধি ! - আরও কি আন্দোলন হতে চলেছে !?



গত কয়েকদিন আগেই নজিরবিহিন এক শিক্ষক আন্দোলনের সাক্ষী হয়েছিল কোলকাতাবাসী !  রাত দিন এক করে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকেরা নিজেদের প্রাপ্য ন্যায্য বেতন আদায়ের জন্য ।  একদিন বা দুই দিন নয় ......! এক এক করে পুরো এক পক্ষ কাল ! হ্যাঁ , প্রায় তেরো দিন খোলা আকাশের নিচে জড়ো হয়েছিলেন তারা !

শেষে চাপে পড়ে সরকার তাদের দাবীর আংশিক মেনে নিলে অনশন ও আন্দোলন প্রত্যাহার হয় !

কিন্তু, সুরাহা কি হল ! অর্থাৎ যে বেতন বৈষম্য ঘোচাতে তাদের এই আন্দোলন সেই বেতন বৈষম্য কতটা মিটল !? নাকি সরকার কৌশলের আশ্রয়ে তাদের সাথে ছলনা করল ! - আসুন দেখা যাক , একটি  পোস্টমর্টেম !

আসুন প্রথমে  দেখে নেওয়া যাক প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ও অনশন কি জন্য ছিল !?

- আমাদের রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা বেতন পেতেন মাধ্যামিক যোগ্যতার ! কিন্তু,  এন সি টি ই সারা ভারতবর্ষে প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতামান বাড়িয়ে উচ্চ মাধ্যামিকে ৫০ % নাম্বার বা গ্রেজুয়েট  ও সাথে ডি এল ই এড ট্রেনিং থাকা বাধ্যতামুলক করা হয় !  সাথে সারা
ভারতবর্ষেই তাদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো নিরদ্ধারণ করা হয় যা পি বি ৪ 9300- 34800 + গ্রেড পে 4200 ! এই নিয়ম প্রায় সারা ভারতবর্ষ মেনে নেয় ।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হয় এর একটু উল্টো ! কারন - পশ্চিমবঙ্গ সরকার যোগ্যতার মাপকাঠি বাড়িয়ে দেন কিন্তু সেই যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন দিচ্ছিল না !
পরিবর্তে তার চেয়ে  বহু কম ! প্রায় অর্ধেক  এক বেতন কাঠামো ছিল প্রাথমিক শিক্ষকদের ! সেটা ছিল ৫২০০- ২৫৪০০ সাথে গ্রেড পে ২৬০০ !

এর জন্য এই রাজ্যের শিক্ষকেরা প্রতি মাসে প্রায় ১০ - ১৫ হাজার টাকা বেতন কম পাচ্ছিলেন !
এর জন্যই আন্দোলন ও অনশন এ বসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষকরা !

এমননকি রাজ্যের মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির থেকেও প্রায় ১০০০০/- টাকা কম বেতন পেতেন প্রাথমিক শিক্ষকরা !

আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক সরকারের ভুমিকা ঃ
সরকার আগাগোড়া আন্দোলন ও অনশন রত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছিল এবং আন্দোলন দমন করতে সমস্ত রকম পথ ও পররিকল্পনা করেছে ! আন্দোলনকারীদের পানীয় জল পর্যন্ত কিনে খেতে  হয়েছে রোজ ! ছিল না কোন নুন্যতম সুযোগ সুবিধা !

আন্দোলনকারীদের সাহাজ্যে এগিয়ে আসেন কিচছু বুদ্ধিজীবী ও সল্টলেকের বাসিন্দারা ! ওনারা অনশন কারিদের জন্য বায়ো টয়লেট এর ব্যাবস্থা করেন ! এছাড়াও সরকার বেতন কাটা ও শো কজ নোটিসশ জারী করতে চেয়েছিল ! কিন্তু সেটাও আন্দোলনকারীদের জেদের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে ।

শেষমেশ আর পথ না থাকায় সরকার আন্দোলন কারিদের দাবী মেনে নিয়ে বেতন বৈষম্য কমাতে উদ্যোগ নেয় ! এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রী নিজে বলেন যে, - সিনিয়র শিক্ষকদের পে প্রটেকশন দেওয়া হবে ও এর জন্য সরকারের কোষাগার থেকে মাসে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করা আরো সহজ 

তবে, আন্দোলন প্রাত্যাহার করে নেবার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার পে প্রটেকশন নিয়ে কোন মাথা ঘামায় নি ! অর্থাৎ, শুধুমাত্র গ্রেড পে বৃদ্ধি করেই ক্ষান্ত ! তাতে দেখা যাচ্ছে সরকারের মাত্র ৫০০ কোটি টাকা খরচা হবে এবং কারো ১২০০ বা কারো ১৬০০ এবং কারো ২৪০০ টাকা বৈষম্য কমবে যা প্রয়োজনের তুলানায় অনেকটাই কম !



মিডিয়ার ভুল তথ্য পররিবেশন ঃ

সরকার আন্দোলনকারীদের দাবী মেনে নেওয়ার সাথে সাথেই বাজার চলতি কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়া নিজেদের ইচছমত যা খুশী তথ্য ছড়াতে থাকে ! কেও বলে এক একজন শিক্ষকের ১০০০০/- টাকা বাড়বে কেও বলে ৯০০০০/- তো কেও বলে ৮০০০/- টাকা বাড়বে ! তবে আজ
পর্যন্ত জানা গেলো না সেগুলি কোন হিসেবে ও কোন অ্যাকাউন্ট সেই হিসেব গুলি করেছেন ! তাই, এনাদের কথা আর বেশী না বলায় শ্রেয় ।


প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ক্রম কি হবে সে নিয়ে ইতি পূর্বেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারী করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । সেই নিরদেশিকায় সরকার জানিয়েছে যে , ১ ই অগাস্ট ২০১৯ থেকে সমস্ত প্রাথমিক  শিক্ষকদের  নতুন বেতন ক্রম লাগু হবে ৭১০০- ৩৪৭০০ + গ্রেড পে ৩৬০০ ( পি বি ৩ )

কিন্তু, সমস্যার শুরু  হয় তার পর থেকে কারন - সরকার যে নির্দেশিকা জারী করেছে তাতে সিনিয়র শিক্ষকদের ব্যাপারে কোন কিছুই উল্লেখ নেই !
অর্থাৎ, যে সমস্ত শিক্ষকরা ২০১০ বা তার আগেই জয়েন করেছেন তাদের নতুন বেসিক কি হবে এবং কিভাবে তা নিরদ্ধারণ করা হবে সে সম্পর্কে কিছুই বলা নেই অর্ডারে  ! দেখা যাচ্ছে যে, পুরানো শিক্ষকেরা প্রায় প্রত্যেকেই ইতিমদধ্যেই পি বি ৩ এর ব্যান্ড পে এর মধ্যে ঢুকে পড়েছেন  তাই, সরকার যদি তাদের পে প্রটেকশন না দেন তাহলে তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গ্রেড পে বৃদ্ধি পাবে !
অর্থাৎ, আগের গ্রেড পে ২৬০০/২৮০০ থেকে বেড়ে হবে ৩৬০০ ! যার ফলস্বরুপ এক এক জন সিনিয়র শিক্ষকের বেতন বৈষম্য মিটছে মাত্র ২০০০/- টাকার কাছাকাছি !




আন্দলোলনকারীদের মতে যা কখনই কাম্য নয় ! কারন - আমাদের রাজ্যের মাদ্রাসার বেতন কাঠামোর সাথেও প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রায় ১০০০০/- টাকার ফারাক আছে ! যা কমিয়ে আনার জন্যই আমাদের  আনসশনের মতো কঠিন পথের আশ্রয় নিতে হয়েছিল ! তবে সরকার পক্ষ কথা দিয়েছিলেন যে পে প্রটেকশন ও নির্দিষ্ট ফিটম্যান ফ্যাক্টর দিয়ে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে ! কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও কোন সেরকম সদরত্থক অর্ডার কিচছু পেলাম না ।

তাদের মতে , পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের সাথে এটা এক প্রকার প্রতারনা করল সরকার ! তবে, শিক্ষকরা কেও চুপ করে বসে থাকবে না ! এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে সমস্ত শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে।
তবে, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ঢেকুর তুললেও ধন্যবাদ দিয়ে আসে যে সংগঠন তারা কি করবে তা জানা নেই !  যদি নিজেদের সংগঠন টিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে এবার তাদেরও পথে নামতে হবে ! নাহলে কিন্তু, শিক্ষকেরা জেনে যাবেন কোন কোন সংগঠন কিসের জন্য আছে !

অর্থাৎ, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সাথে সরকার যেটা করল সেটা একপ্রকার ছল চাতুরী !মাননীয়   শিক্ষামন্ত্রী নিজে অবশ্য জানিয়েছিলেন যে , রাজ্যের মাদ্রাসা সশিক্ষকদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষকদের একটা বেতন বৈষম্য আছে তা দূর করার চেষ্টা করা হল!
এবং এর জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রায় প্রতি মাসে খরচ হবে ! কিন্তু হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে , যদি সিনিয়র শিক্ষকদের পে প্রটেকশন না দেওয়া হয় এবং যদি শুধুমাত্র গ্রেড পে বৃদ্ধি করা হয় তাহলে রাজ্যের মাত্র ৫০০ কোটি টাকাতেই কাজ হয়ে যাবে !
১১০০ কোটি টাকা তখনই খরচ হবে যদি পে প্রটেকশন ও নির্দিষ্ট ফিটম্যান ফ্যাক্টর হিসেবে নতুন বেসিক হয় !

তাহলে শিক্ষকরা কি সরকারের এই ছল চাতুরি মেনে নিলেন !? - সে কথা সময় বলবে । তবে এখন শুধু একথা বলা যায় যে , রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষক কিন্তু সরকারের এই  চছল চাতুরির জন্য ক্ষোভে ফুসছেন !
যে কোন সময় আবার সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হতে পারে !

আর শাসক দলের সংগঠন ( ধন্যবাদ দেওয়া সংগঠন ) এর নেতারা মুকখে কুলুপ এতঁটেছেন ! ওনারা এই নিয়ে কিছু বলতে নারাজ !



No comments:

Post a Comment