Digital Barta

Digital Barta - An online news portal 24Hours at your service. Here we Value the Genuine news only.

Don't Miss! Grab the Deal Now

Breaking

Friday, 20 March 2020

প্রসংসা কুড়োতে গিয়ে বিতর্কের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী : প্রসংগ স্কুলে চাল ও আলু বিতরণ

প্রশংসা  কুড়োতে গিয়ে বিতর্কের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী : প্রসংগ স্কুলে চাল ও আলু বিতরণ !
সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার সময় এই বিতরন কতটা যুক্তিযুক্ত !



বিশ্ব জুড়ে প্রতিটি দেশ করোনা  মোকাবিলায় নাজেহাল ..একের পর এক দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে  ভাইরাস..বাদ পরেনি আমাদের দেশ তথা রাজ্য .. এমন অবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্যেশ্যে করোনা  মোকাবিলায় আগামী ২২শে মার্চ " জনতা কার্ফু " পালন করার অনুরোধ করেন ... পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও  ..... 

তিনিও করোনা মোকাবিলায় সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন .. প্রশংসাও  কুড়িয়েছেন যথেস্ট ..কিন্তু হিতে বিপরীত হতে বসেছে স্কুল থেকে চাল ও আলু বিতরণ এর নির্দেশ বেরোতেই ! 

নির্দেশে বলা আছে , যেহেতু এখন স্কুল ছুটি তাই মিড ডে  মিল বন্ধ , সুতরাং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিলি করতে হবে চাল এবং ২ কেজি করে আলু ....তা শুরু করার কথা আগামী সোমবার থেকে 

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশেই বিতর্কের সূত্রপাত :

এমনিতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ যথেস্ট সাধুবাদ যোগ্য় কিন্তু বর্তমানে করোনা  পরিস্থিতিতে তা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে ! কারণ- নির্দেশে বলা হয়েছে রবিবার দিন স্কুল গুলিকে রেডি করতে হবে সবকিছু সোমবার বিতরণ করার জন্যে অর্থাৎ কিনা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যে জনতা কার্ফু পালন করার অনুরোধ জাতির উদ্যেশ্যে করেছেন তার পরিপন্থী !


দ্বিতীয়ত , প্রতি ছাত্র ছাত্রী পিছু ২ কেজি করে আলু যোগার  করা এখন আরেক ঝামেলা ! এমনিতেই কালোবাজারী শুরু হয়ে গিয়েছে বাজারে ! এহেন পরিস্থিতিতে  কোনো স্কুলে যদি  ১০০ জন ছাত্রছাত্রী থাকে তাহলে ২০০ কেজি আলু ( মনে রাখতে হবে এটি শুধুমাত্র একটি স্কুলের হিসেব দেওয়া হলো , এলাকাতে এরকম অনেক স্কুল আছে ) পাওয়া খুবই সমস্যার হতে পারে !

তৃতীয়ত , এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন বিতর্কের বিষয় হলো - যখন সারা দেশ জুড়ে সোস্যাল দুরুত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে সেখানে স্কুল গুলিতে এইরকম বিতরণ কেন্দ্র আয়োজন হলে তো স্কুল ছুটি দেওয়ার আসল উদ্য়েশ্য় মার খাবে ! 

যদিও , নির্দেশিকায় উল্লেখ করা আছে - 
  • ভিড়  যাতে না হয় সেই মত ব্যবস্থা করতে হবে-
  • অভিভাবকদের স্কুলে এসে সংগ্রহ করতে হবে স্কুল থেকে -
  • যে সমস্ত অভিভাবকদের বিদেশ যাত্রার ইতিহাস আছে বা অন্য রাজ্য থেকে আসছেন তাদের স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই - 

ইত্যাদি আরো নানাবিধ বিধিনিষেধ সম্বলিত অর্ডার টি ইতিমধ্যে পৌছে গেছে অফিস গুলিতে 

এখন প্রশ্ন কার অভিভাবক বিদেশ থেকে এসেছেন বা অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন কিনা তা দেখবেন কে ! সে ব্যাপারে কিন্তু কোনো নির্দেশিকা নেই !আবার গ্রামে গঞ্জের স্কুল গুলিতে বিতরণ মানে এক স্থানীয় উত্সবের পর্যায়ে পৌঁছয় ! কে নিয়ন্ত্রণ করবেন এই সমবেত অভিভাবকদের ! উত্তর নেই নির্দেশিকায় !

তাই, বিশেষজ্ঞ মহলে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে , যেখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে সেখানে সামাজিক ভিড় হতে পারে এমন উদ্যোগ কেনো !

2 comments:

  1. অর্ডারের কপিটা পোস্টে থাকা প্রয়োজন ছিল৷

    ReplyDelete
  2. এই অমানবিক ও আত্মঘাতী নির্দেশ দেওয়ার আগে সরকারের অবশ্যই আরও একবার ভাবা উচিত ছিল

    ReplyDelete