মানব সেবার অনন্য নজির গড়ল ' পিছিয়ে পড়া ' পুরুলিয়া জেলার কয়েকজন ছাত্রছাত্রী
মানবতার অনন্য নজির
অনন্য নজির গড়ল পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী ..এই লক ডাউনে সবাই যখন গৃহবন্দী ,ঠিক তখন সবার অগোচরে এগিয়ে চলেছে পুরুলিয়া জেলার জঙ্গল মহলের কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রী মানুষের সেবায় !
লক ডাউন এর কারণে কর্মহীন হয়েছে অনেক সংখ্যক মানুষ ! তবে এর প্রভাব মারাত্মক আকারে দেখা যায় পুরুলিয়া জেলার শবর অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এবং দুর্গম অযোধ্যা পাহাড়ের আদিবাসীদের মধ্যে .....
কারণ - তারা প্র্যতেকে প্রতিদিনের খেটে খাওয়া মানুষ ! তাদের একমাত্র ভরসা প্রতিদিনের কাজ !
করোনা কেড়েছে কাজ !
তাই, ওনাদের জীবনেও নেমে এসেছিল লক ডাউন ! ঠিক এরকম সময়ে তাদের মুখে অল্প খাদ্য সামগ্রী বা বলা ভালো কিছুটা হাসি তুলে দিয়ে এলো আমাদের তথা কথিত পিছিয়ে পড়া জেলার কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী সম্পূর্ণ নিজেদের প্রচেষ্টায় .....
তাই, ওনাদের জীবনেও নেমে এসেছিল লক ডাউন ! ঠিক এরকম সময়ে তাদের মুখে অল্প খাদ্য সামগ্রী বা বলা ভালো কিছুটা হাসি তুলে দিয়ে এলো আমাদের তথা কথিত পিছিয়ে পড়া জেলার কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী সম্পূর্ণ নিজেদের প্রচেষ্টায় .....
যা মানবতার এক অনন্য নজির গড়েছে ..
লাগাতার পৌছে গেছে তারা মানুষের সেবায় প্রতিদিন জেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ... কেন্দা থানা থেকে দুর্গম বাঘমুন্ডি ! যেখান থেকে ডাক এসেছে, সীমিত সামর্থ্যের সাথে হাজির হয়েছে “ অপরাজেয় ” সেনা ...
অল্প অল্প করে তারা ইতিমধ্যেই পৌছে গেছে জেলার প্রায় ২৫০ পরিবারের কাছে .. আর এই সংখ্যাটাই বলে দিচ্ছে " ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় "
প্রাথমিকভাবে ছিল না কোনো ফান্ড ... দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাড়ানোর ইচ্ছে নিয়ে পথে নামা , শুধুমাত্র ইচ্ছে তাকে সম্বল করে এগিয়ে গেছে "অপরাজেয় " সেনার ফিল্ড সদস্যরা ....
![]() |
Team "Aparajeyo" with local Administration SDO, BDO & OC |
সেরকমই গত ৩০/০৪/২০২০ তারিখে পৌছে গিয়েছিল বাঘমুন্ডি , অযোধ্যার বিরহড় সম্প্রদায় ও আরো কিছু দুস্থ মানুষের সেবায়, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই অপরাজেয় দলটি .....
সেখানকার ভূপতি পল্লী , বারেরিয়া , শুকরিডবা , টিকরট্যার - এই চারটি গ্রামের প্রায় ১৫০ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে আসেন চাল, আলু, দল, সরসে, তেল, সাবান, চা , চিনি . হলুদ , মশলা, বিসকুট , মুড়ি, সয়াবিন ......
সেখানে পৌছে পাশে পান স্থানীয় SDO , BDO, বাঘমুন্ডি থানার O C এবং সেখানকার সিভিকদের সাহায্য ...
এই বিশাল কর্মকান্ডের পিছন থেকে যিনি পরিচালনা করলেন তিনি হলেন – পুরুলিয়া জেলার বাতিকারা স্কুলের শিক্ষিকা ব্যানার্জি ম্যাডাম এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলার আরো কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা…
তবে, যেটা আশ্চর্যের এনারা বেশিরভাগই একে অপরকে জানেন না ও চেনেন না!! 😯 শুধুমাত্র সাহায্য করার মানসিকতা নিয়ে সোস্যাল মাধ্যমে গ্রুপ করে চলে পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন…..
আর এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে যে সকল প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রী তারা - রাজাধিরাজ, বিদ্যাধর, রাজেশ, অচিন্ত্য, বিষ্ণু, সুজিত, পায়েল, আমির, রঞ্জিত, সোমনাথ পরামানিক , সোমনাথ মুখার্জী ও আরো অনেকজন মিলে ...
তবে পুরো অপরাজেয় টিম তাদের অযোধ্যা প্রোগ্রামের পুরো কৃতিত্ব দিছেন জেলার শিক্ষক জয়ন্ত সিনহা মহাশয়কে.. উনি না পাশে থাকলে হয়তো এই প্রোগ্রাম নেওয়া সম্ভব হতো না..
ছাত্রছাত্রীদের এমন কাজে খুসি হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গাড়ির ড্রাইভার ( অরবিন্দ গড়ায় ).... তিনি তার গাড়ির জন্য কোনো ভার নেননি .....
আর এত বড় কর্মকান্ডের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করেছেন নিজেরাই নিজেদের পরিচিতদের কাছ থেকে…
শিক্ষিকা সোনালী ব্যানার্জীর কথায় - " আমাদের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা খুব আগ্রহের সাথে মানুষের সেবায় এগিয়ে গেছে , যা বর্তমান যুব সমাজের কাছে যথেস্ট অনুপ্রেরণার , যা করেছে ওরা নিজেরাই ....আমরা কয়েকজন শুধুমাত্র পিছন থেকে গাইড করার চেষ্টা করেছি "
তিনি আরো জানান - সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও কয়েকজনের ব্যক্তিগত সাহায্যে এই কর্ম যজ্ঞ চলছে ...ইতিমধ্যেই আমরা প্রায় জেলার ২৫০ পরিবারকে সাহায্য পৌছে দিতে ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে , এবার ফান্ড সে কিছুটা ঘাটতি এসেছে ! তাই, আরো এগিয়ে যেতে হলে নতুন করে ফান্ড প্রয়োজন !!
তাই , আপনাদের মারফত সুহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ, - এই প্রয়োজনের দিনে পিছিয়ে থাকবেন না ! যদি পারেন কিছু সাহায্য করুন , প্রয়োজন হলে নিজে এসে দাড়িয়ে থেকে সাহায্য করে যান”
আগামী দিনে কি হবে জানা নেই ...
তবে পিছিয়ে পড়া জেলার কয়েকজন ছাত্রছাত্রী
তবে পিছিয়ে পড়া জেলার কয়েকজন ছাত্রছাত্রী
যেভাবে নজির গড়ে চলেছে মানব সেবার,
তা সাধুবাদ যোগ্য এবং শিক্ষনীয়….
No comments:
Post a Comment