প্রাথমিকের ট্রান্সফার : কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ !!
রাজ্য জুড়ে শিক্ষকদের বন্ধ থাকা বদলি প্রক্রিয়া শুরু হতেই শোরগোল ! সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ বাবু সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন এবার থেকে সমস্ত শিক্ষকদের বদলি পুরোটাই হবে খুব সহজে এবং অনলাইনে ...
তবে তার আগেই রাজ্যের ভিন্ন জেলায় কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির অর্ডার বের হয় , সেখানে দেখা যাচ্ছে বদলির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি ! এমনকি কোন জেলা থেকে একসাথে ভিন জেলার সমস্ত শিক্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে তো কোথাও বেছে বেছে কিছু জেলার শিক্ষকদের ছাড়া হচ্ছে এবং দেখা হচ্ছে না কোনো নিয়ম নীতি !
![]() |
আসুন দেখে নেওয়া যাক ঠিক কি কি অনিয়ম হচ্ছে বদলির ক্ষেত্রে -
- শিক্ষার অধিকার আইনে পরিস্কার করে বলা হয়েছে কোনো পরিস্থিতিতেই বিদ্যালয় শুন্য করে শিক্ষকদের বদলি করা যাবে না ! কিন্তু , দেখা যাচ্ছে এরকম বহু শিক্ষকের বদলির অর্ডার এসেছে যারা ওই বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষক ছিলেন ! ( আপাতত বিজ্ঞপ্তি বের করে তাদের সাময়িক আটকানো হয়েছে )
- বদলির ক্ষেত্রে কোনো সেনীয়রিটি দেখা হয় নি ... ! কোথাও বছর দুই আগে নিয়োগপ্রাপ্ত জুনিয়র শিক্ষকদের সবার ট্রান্সফার হচ্ছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে ৮-১০ বছর শিক্ষকতা করার পরও ট্রান্সফার লিস্ট এ নাম নেই !!
- আরো অভিযোগ কোথাও কোথাও বিশেষ একটি বা দুটি জেলার শিক্ষকদের ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়েছে ! কিন্তু কেন তার কোনো সদুত্তর নেই কারো কাছেই !
যেমন - বাকুড়া জেলার যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা পুরুলিয়া জেলায় নিযুক্ত ছিলেন , কোনো এক অজ্ঞাত কারণ বসত তাদের কারো নাম নেই বদলির তালিকায়.... একই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যারা ঝাড়গ্রাম জেলায় শিক্ষকতা করেন !!
স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষোভ জমছে সেই সমস্ত শিক্ষকদের , ওনাদের পরিস্কার কথা যদি ভিন জেলায় কর্মরত সকলের বদলি হয়ে থাকে তাহলে ওনারা বঞ্চিত কেন হচ্ছেন অথচ মাত্র দুই তিন বছর শিক্ষকতা করার পরেই বাকিরা সুযোগ পেয়ে গেলেন কোন নিয়মে !?
এ ব্যাপারে পুরুলিয়া জেলার মাননীয় এ .আই . অসিত বাবুর সাথে ফোন কথা হলে উনি জানালেন - "পুরুলিয়া জেলা থেকে ইতিমধ্যেই দুই ধাপে ৩১৪ ( ৩০৪ + ১০ ) জনের ট্রান্সফার অর্ডার এসেছে তবে বাকুড়া জেলার কারো নাম নেই তাতে !!"
কেনো নেই সেই উত্তরে উনি ওনার ব্যক্তিগত মতমতে জানালেন - " পরবর্তী ক্ষেত্রে আরো হয়তো কিছু লিস্ট আসতে পারে , সেখানে বাকুড়া জেলার প্রার্থীদের নাম থাকতেও পারে "
আবার দেখা যাচ্ছে মালদহ থেকে একসাথে প্রায় ৮০০ শিক্ষক বেরিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আর বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন মাত্র ৯০ ! এ এক চাহিদা আর যোগানের বিপুল অসামন্জস্য ! তাই অসুন্তুস্ট জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ গুলিও ! তবে ওনারা জানাচ্ছেন কিছুই করার নেই যা করার সবই তো হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর থেকে .....
এ যেন এক প্রকৃত হ - য -ব - র - ল অবস্থা !
উত্তর নেই কারো কাছেই .....
![]() |
প্রতিবার অনলাইন কেনাকাটায় নিশ্চিত কাশব্যাক For FREE Download - CLICK HERE |
আপনারা জানান আপনাদের মতামত , কতটা যুক্তিসংগত হয়েছে এই ট্রান্সফার !? কেনই বা সিনিয়র শিক্ষকদের বঞ্চিত করে এই ট্রান্সফার বা রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষায় এই বদলি কি কোনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে ? জানান কমেন্টে -
Same problem to me
ReplyDelete