"একটা শিক্ষাদান আর একটা রক্তদান " - এই দুই'কে এক সুতোই বাঁধলেন একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন
UUPTWA চলেছে জীবন গঠন ও জীবন গড়ার আরও বৃহত্তর পথে
একটা শিক্ষাদান আর একটা রক্তদান - দুটোয় সমাজের পক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ । কারন - রক্তদান আমাদের জীবন দান করে , আর শিক্ষাদান আমাদের সেই জীবন গঠনে সাহাজ্য করে।
আর এই দুটোকে যারা এক সুতোই বেঁধে ফেললেন তারা হলেন শিক্ষকদের এক অরাজনৈতিক সংগঠন UUPTWA ( Usthi United Primary Teachers Wellfare Association )
এবার পুরুলিয়া জেলার, এক অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে জেলার কেন্দা'তে আয়োজিত হল - " রক্তদান শিবির " ।
👉👉 প্রসঙ্গত, এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল সক্রিয় ভাবে খুব বেশী হলে ১-২ বছর । এই অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠনটি নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও পারদর্শিতা তথা দূরদর্শিতার প্রমান দিয়েছে বহুবার । তাদের কণ্ঠে কেঁপেছে কোলকাতা অনেকবার !
তাদের দাবীর স্বপক্ষে এনেছেন ডান , বাম , বিরোধী সকলকে ......মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আয়োজন করে দেখিয়েছে কোলকাতার বুকে ধিক্কার মিছিল , এক মাসের মধ্যে দু-দু'বার কোলকাতার বুকে জমায়েত করে দেখিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের .........
এবার সেই সংগঠনটি নিজেদের ন্যায্য দাবী দাওয়ার পাশাপাশি ব্রত নিলেন সামাজসেবারও। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে সফলতার সাথে আয়োজন করে দেখালেন - "রক্তদান শিবির " ।
উদ্যোক্তা সংগঠনটির কথায় - " রক্তদান ও শিক্ষাদান আমাদের কাছে দুটোয় সমান গুরুত্বপূর্ণ । কারন - দুটোয় আমাদের প্রয়োজন একটা জীবন বাঁচায় আর একটা জীবন গড়তে সাহাজ্য করে"।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
LIKE OUR FACEBOOK PAGE FOR UPDATE - DigitalBarta
![]() |
👉 দীর্ঘদিন পর শিক্ষকদের এমন ভুমিকায় দেখে খুশী এলাকাবাসীও । কারন - এমনিতেই শীতকালে পুরুলিয়া জেলাতে রক্তের সঙ্কট দেখা যায় কিছুটা । তাই, এলাকাবাসির কথায় - " একমাত্র শিক্ষকরাই পারেন আমাদের সমাজের সত্যিকারের উন্নতি সাধন করতে , তাই সমাজ গঠনে শিক্ষক শিক্ষিকারা এরকমভাবে এগিয়ে আসাটা সত্যিই সমাজের পক্ষে মঙ্গলজনক। আশা করব আগামিতে ওনারা আরও সমাজ গঠনে অংশগ্রহণ করবেন ।"
এই মহৎ উদ্দ্যগটিকে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন ! পুরো সমাজ আজ দেখুক,-
" যারা শিক্ষাদান করে জীবন গড়ে, তারা রক্তদান করে জীবন বাচাতেও পারে "
আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক - কবে ও কোথায় আয়োজন করা হয়েছিল এই রক্তদান শিবির -->
জেলা পুরুলিয়া অর্থাৎ, সংগঠনটির পুরুলিয়া শাখা এই মহতী উদ্যোগ নিয়েছিল । আর রক্তদান শিবিরটির আয়োজন হয়েছিল কেন্দা'তে । কেন্দার কমুইনিটি হলে সকাল ১০ টা থেকে আয়োজন হয়েছিল এই রক্তদান শিবিরটির।
তবে এই কাজটি শুধুমাত্র সেই এলাকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা । পুরো জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন জেলার শিক্ষকেরা ।
এমনকি বড়দিনের এই ছুটির মরশুমেও কেও কেও তো এসেছিলেন ৬০-৭০ কিলোমিটার দূর থেকেও ।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া যাক - এই রক্তদান শিবির শেষে UUPTWA সংগঠনের সদস্য রা নিজেদের মধ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন । যার মূল আলোচ্য ছিল - আগামিদিনে UUPTWA সংগঠন কিভাবে তাদের নিজেদের ন্যায্য দাবী দাওয়ার বিষয়ে কোন পথে এগোবে এবং সামনের ৩০শে ডিসেম্বর সংগঠনের কোচবিহার চল কর্মসূচি কিভাবে সফল করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
তবে উদ্যোক্তারা এটা পরিস্কার ভাবেই জানিয়ে দিতে চান যে ,- ' সমাজের কিছু মুষ্টিমেয় ব্যাক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমাদের সংগঠনের নামে বিভিন্ন অপবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে প্রতিনিয়ত , এমনকি সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে নদিয়া জেলার শিক্ষকদের ওপর! আমরা এ ধরনের নোংরা কাজের তিব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আর সাথে এটাও জানায় শুধু এটাই শেষ না এরপর আরও বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন জেলায় আমাদের সমাজ গঠনকারী কার্যকলাপ চলতে থাকবে , কেও আমাদের থামাতে পারবে না ।"
এ ব্যাপারে আমরা ডিজিটাল বার্তা'র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেছিলাম UUPTWA এর রাজ্য কমিটির সদস্য তথা পুরুলিয়া জেলারই প্রাথমিক শিক্ষক আসিউদ্দিন আনসারি স্যারের সাথে , উনি জানালেন - "UUPTWA এই সমাজসেবা মুলক কাজ আগামী দিনেও চলবে । কেন্দার পর এবার চেষ্টা চলছে পুরুলিয়ার জয়পুর চক্রে একটি মরণোত্তর চক্ষুদান শিবির আয়োজন করার।"
![]() |
চলছে রক্তদান শিবির - কেন্দা কমুইনিটি হল |
উনি আরও জানালেন - " সমাজের এটা জানা একান্ত প্রয়োজন যে , শিক্ষকেরা শুধুমাত্র নিজেদের ন্যায্য পাওনা নিয়েই শুধু আন্দোলন করে না, যে কোন সামাজিক কাজে শিক্ষকেরা এগিয়ে আসেন এবং আগামী দিনেও সমাজ সংস্কারে শিক্ষকেরাই সবচেয়ে বড় ভুমিকা নেবেন ।"
আর জেলার শিক্ষকেরাও সাড়া দিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে - সংগঠনের তরফে আশা করা হয়েছিল ১০০ জন যদি হয় ,কিন্তু শিক্ষক আসিউদ্দিন আনসারি জানালেন - যা বোঝা যাচ্ছে তাতে ১০০ ছাপিয়ে যাবে সহজেই ।
আর এই মহৎ কাজটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন সংগঠনটির রাজ্য স্তরের নেতৃত্ববৃন্দ । যেমন উপস্থিত ছিলেন - সংগঠনটির রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস সহ সংগঠনের আরও রাজ্য স্তরের নেতৃত্বরা- চন্দন চ্যাটারজি , অনুপ সাহু , সায়ন মিত্র প্রমুখ ।
যদিও ওনারা কেওই নিজেদেরকে নেতা বা নেত্রি হিসেবে দেখতে নারাজ । ওনাদের কথায়- সবার মত আমরা প্রত্যেক্কেই একজন শিক্ষক । আর আমরা কোন রাজনিতিও করিনা ! আমরা একটা সংগঠন করেছি কারন - বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই প্রয়োজন ছিল শিক্ষকদের প্রতিটি কণ্ঠ 'কে একত্রিত করে এক গর্জনে পরিনত করা ।
এই মহৎ উদ্দ্যগটিকে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন ! পুরো সমাজ আজ দেখুক,-
" যারা শিক্ষাদান করে জীবন গড়ে, তারা রক্তদান করে জীবন বাচাতেও পারে "
" যারা শিক্ষাদান করে জীবন গড়ে, তারা রক্তদান করে জীবন বাচাতেও পারে "
এ জাতীয় খবরের আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ-
No comments:
Post a Comment