Digital Barta

Digital Barta - An online news portal 24Hours at your service. Here we Value the Genuine news only.

Don't Miss! Grab the Deal Now

Breaking

Saturday, 8 December 2018

পাস গ্র্যাজুয়েটদের TGT স্কেল আর প্রাথমিক শিক্ষকদের PRT স্কেল ! একটা ড্যামেজ কন্ট্রোলে পাস, আর অন্যটা বাধ্যবাধকতায় আটকে !! - বর্তমান পরিস্থিতি

পাস  গ্র্যাজুয়েট'দের  TGT স্কেল  আর প্রাথমিক শিক্ষকদের PRT স্কেল ! - বর্তমান পরিস্থিতি 

"একটা ড্যামেজ কন্ট্রোলে পাস আর অন্যটা বাদ্ধবাধকতায় আটকে "


একদিকে বছর শেষ হলেই শুরু হবে  লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি আর অন্যদিকে নতুন বছরে আসতে চলেছে পে-কমিশন আর তার মাঝে  চলছে সরকারের সাথে শিক্ষকদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দড়ি টানাটানি ! সেই রাজকুমার রাও মৃত্যুর থেকে চলছে একের পর এক ঘটনাপ্রবাহ ! আর বর্তমানে মাধ্যামিক স্কুলের পাস ক্যাটাগরির শিক্ষক দের দাবী আদায়ে আন্দোলনরত হয়েছে - বেঙ্গল ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচার  আর অন্যদিকে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের দাবী আদায়ে সোচ্চার হয়েছে -  প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি !

এই দুই নিয়ে শিক্ষা দপ্তরে এখন আলাপ আলোচনা চলছে । কিন্তু , সুত্রের খবর অনুযায়ী পাস ক্যাটাগরির শিক্ষকদের নিজেদের দাবী আদায়ে বিশেষ কিছু বেগ পেতে হয়ত হবেনা । কারন - এমনিতেও কোর্ট কেস তাদের অনুকুলে আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার সরকারও চাইছে তাদের দাবী মিটিয়ে দিতে ! হ্যাঁ , এমনটাই হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। 


LIKE OUR FACEBOOK PAGE - DIGITAL BARTA 

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় ? পাস ক্যাটাগরির শিক্ষকদের দাবী মানা হলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে কেন মানা হবে না !! তবে কি সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা করে চলার মনোভাব নিচ্ছে !! ?
ব্যাপার'টা তেমন না ! এক কথায় বলতে গেলে পাস ক্যাটাগরির শিক্ষকদের দাবী পূরণ করা হল - " সরকারের ড্যামেজ কন্ট্রোল " আর প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী এই মুহূর্তে না মেটানোর মনোভাব হল - "সরকারের বাধ্যাবাধকতা " !!


একটু তলিয়ে দেখা যাক ব্যাপারখানা -
প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তর যথেষ্ট সহানুভূতিশীল হলেও , যা খবর তাতে এই মুহূর্তে কিচ্ছুটি করার নেই । অর্থাৎ, ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই অবস্থা ! কারন পাস গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সরকার সহজেই মেনে নিচ্ছেন তাদের দাবী দাওয়া কারন একটাই- এক্ষেত্রে তাদের দাবী মেনে নিলে একদিকে যেমন ভোটের আগে শিক্ষকদের একাংশ কে বার্তা দেওয়া যাবে যে সরকার সমস্ত শিক্ষকদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল আর পাওয়া যাবে প্রচারের রসদও ।

তাছাড়া TGT স্কেল  ও  PRT স্কেল এদের মধ্যে  বড় তফাৎ হল - টাকার অঙ্ক! কারন- প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী সরকার মেনে নিলে এক মুহূর্তে সরকারের খরচ বেড়ে যাবে বহুগুন কিন্তু পাস গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের দাবী মানলে অল্প টাকাতেই সমস্যা মিটবে আর ভোটের আগে একটা মাইলেজ পাওয়া যাবে বাড়তি।
তাহলে কি প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী মিটবে না !? আসলে , সরকার হয়ত প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিও মিটিয়ে দিত যদি এখেত্রেও টাকার অঙ্কটা কম হত! আর এই মুহূর্তে সরকারের প্রায় ঘাড়ের কাছে শ্বাস  ফেলছে পে-কমিশন ! আর কোনোভাবেই টাল বাহানা করে পে-কমিশন পিছানো প্রায় অসম্ভব ! এই পে-কমিশন হল সরকারের বাধ্যবাধকতা আর এই পে-কমশন'ই হল PRT  স্কেলের পথে একমাত্র বাধা !

আর ঠিক এই খানেই সরকার পক্ষ আর আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের দড়ি টানাটানি । কারন- শিক্ষক - শিক্ষিকারা চাইছেন যে ভাবেই হোক পে- কমিশন এর আগে নিজেদের দাবী আদায় করতেই হবে , একমাত্র তাহলেই নিজেদের বেনিফিট পাওয়া যাবে পে- কমিশন এ। আর উল্টোদিকে সরকারকে  এমনিতেই সামনের বছর থেকে পে-কমশনের বোঝা বইতে হবে তাই, এই PRT  এর বাড়তি  বিপুল অঙ্কের বোঝা বয়তে  নারাজ ! এবার সময় বলবে সরকারের সাথে দড়ি টানাটানি খেলায় দড়ি কার দিকে থাকবে, কারন - আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকরাও কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ !

এ জাতীয় খবরের  আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ-


LIKE OUR FACEBOOK PAGE - DIGITAL BARTA 

তবে একটাই আশা যে , ভোটের আগে সরকার ও  প্রাথমিক শিক্ষকদের কোনোরকম ভাবে চটাতে চান না ! কারন - উস্থি নামক সংগঠন এমনিতেই রাজ্যের প্রায় সমস্ত শিক্ষক - শিক্ষিকাদের নিজেদের পক্ষে আনতে সমর্থ আর তাদের এই বিপুল সমর্থন এই তাদের শক্তি । আর চটাতে চান না বলেই উস্থির অন্য যে দাবী ছিল - "প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষকরা চাঁদা দেবেন না " - তা সরকার কিন্তু এক বাক্যেই মেনে নিয়েছেন এবং বাড়তি টাকা বরাদ্দ ও করা হয়েছে প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য দাবী মত ।

তবে সরকার আর শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত কিছু একটা মাঝামাজি মধ্যস্থতা যদি  করা যায় !
এখন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে । সরকারের মনোভাব যদি দিতেই হয় তাহলে শেষ মুহূর্তে ! যদিও এই শেষ মুহূর্ত কি !? তা আর বিস্তারিত জানাতে নারাজ !
যদিও অনুমান করা যাচ্ছে , পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা বা শেষ মুহূর্ত বলতে আন্দোলনের গতি প্রকিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারে ! তবে তার আগে আন্দোলন কিভাবে দমিয়ে দেওয়া যেতে পারে রাজনৈতিক ভাবে সেই চেষ্টা আপ্রান করা হবে । আর সেই চেষ্টার প্রমান বিক্ষিপ্ত ভাবে দেখা দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলাতে! কোথাও ভীতি প্রদর্শন তো কোথাও সরাসরি ব্যাক্তি আক্রমন বা কুৎসা রটানো !!  এমনটাই দপ্তরের অলিন্দে ঘোরাফেরা করছে !!



No comments:

Post a Comment