সার্জিকাল স্ট্রাইক নয়, আকাশ থেকে সোজা মাসুদের ডেরাতেই আঘাত হানতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা সামরিক বাহিনীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবারই পাক-সীমান্ত ঘেঁষা পোখরানে বায়ুসেনা আকাশ থেকে মাটিতে কোনও লক্ষ্যে হামলা নিয়ে মহড়া দিয়েছে। বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া পোখরানে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা কতটা জোরের সঙ্গে, কত দ্রুত এবং কত নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত করতে পারি, সেই ক্ষমতা তুলে ধরছি।’’
প্রাক্তন সামরিক শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, সীমান্ত বা নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পার থেকে গোলাগুলি ছোড়া বা ফের সার্জিকাল স্ট্রাইকের থেকে অনেক বেশি নিরাপদ বিকল্প মাসুদ আজহার এবং তার জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরগুলিতে ‘প্রিসিশন এয়ার স্ট্রাইক’ অর্থাৎ নিখুঁত বিমান হানা। বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল ফালি হোমি মেজরের মতে, ‘‘বায়ুসেনার সেই ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য একেবারে নিখুঁত, ‘রিয়াল টাইম’ গোয়েন্দা তথ্য থাকতে হবে।’’ গোয়েন্দা তথ্য যে নির্ভুল, সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে। অর্থাৎ, জানতে হবে ঠিক কোথায় জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবির রয়েছে।
সামরিক হামলার ছক কষতে গিয়ে দু’টি বিষয় নিয়ে চিন্তায় সামরিক বাহিনীর কর্তারা। এক, চালে ভুল হলে পুরো দমে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি নেওয়া হবে কি না, তা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিতে হবে। দুই, পাল্টা হামলা কবে চালানো হবে। প্রাক্তন ফৌজি কর্তাদের মতে, যে কোনও ‘গোপন অভিযান’ থেকেই পুরোদস্তুর যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। সে সার্জিকাল স্ট্রাইক-ই হোক বা ‘প্রিসিশন এয়ার স্ট্রাইক’। তাই এই ধরনের কোনও অভিযানের সমস্ত রকম ফলশ্রুতি হিসেবের মধ্যে রেখেই অভিযানের পরিকল্পনা তৈরি হয়।
LIKE OUR FACEBOOK PAGE FOR UPDATE - DigitalBarta
![]() |
সেনা কর্তারা বলছেন, ‘প্রিসিশন এয়ার স্ট্রাইক’-এর কথা ভাবা হলেও কোনও ভাবেই তা জনবহুল এলাকায় করা যাবে না। কারণ নিরীহ মানুষের প্রাণ গেলে ভারতের দিকেই আঙুল উঠবে। সেই জন্যই পাকিস্তানের মাটি থেকে একেবারে নির্ভুল গোয়েন্দা তথ্য চাই। আজ এক সাক্ষাৎকারে ফালি হোমি মেজর মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই নিশ্চয়তা ছিল না বলেই আমেরিকা পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের ডেরায় আকাশ থেকে বোমা ছোড়েনি। তার বদলে মার্কিন নেভি সিল-এর কম্যান্ডোরা ঝুঁকি নিয়ে লাদেনের ডেরায় নেমেছিল।
No comments:
Post a Comment