এবার ছুটিতে ,"ছুটি- ছুটি" বিতর্ক !!
দেখেনিন বিজ্ঞপ্তি কি বলে, সরকার কি বলছে আর শিক্ষকেরা কি চান !
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সারকারি , আধা সরকারী এবং সরকারী সাহায্প্রাপ্ত স্কুল গুলিতে তিমধ্যেই সরকার ছুটির নোটিশ জারী করে জানিয়ে দিয়েছে যে, পুনরায় কোন নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুলগুলি আগামী ২৯ শে জুন পর্যন্ত ছুটি থাকবে । শুরু হয় বিতর্ক ! অবশ্য বিতর্ক শিক্ষকদের মধ্যেই । শিক্ষকদের একাংশের মতে এই ছুটি কোনমতেই প্রয়োজন ছিল না এমনকি সরকারকে এক হাত নিতেও পিছপা নন তারা । পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন এর বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে গন আন্দোলনে যাবেন । কারন - হিসেবে ওনারা জানান যে, রাজ্যে এই মুহূর্তে ছুটির বিন্দুমাত্র পরিবেশ ছিল না । আর এমনিতেও এত ছুটি দিলে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যসূচী কিভাবে শেষ হবে তাই নিয়ে চিন্তিত।
LIKE OUR FACEBOOK PAGE FOR UPDATE - DigitalBarta
![]() |
- তবে, শিক্ষামন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ হলে উনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ বিতর্কের অবসান ঘটাতে জানান যে, এই ছুটি তিন ধাপে কার্যকরী হবে । অর্থাৎ, ৩/০৫/২০১৯ - ০৪/০৫/২০১৯ ছুটি থাকবে ঘূর্ণিঝড় ফনি এর জন্য , এবং তারপর ১৭/০৫/২০১৯ পর্যন্ত অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে আর তারপর ১৮/০৫/২০১৯ থেকে এমনিতেই রাজ্যের বিদ্যালয় গুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকতো, এরপরের ছুটি' টা অর্থাৎ গ্রীষ্মের ছুটির পর থেকে আগামী ২৯/০৫/২০১৯ পর্যন্ত যে ছুটি সেটা রাজ্যের তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে পুনরায় বিবেচনা করে দেখা হবে এবং সেটা ছুটির নোটিশেও পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে । মন্ত্রির মতে, তাহলে আর এত বিতর্কই বা কিসের !
তবে মন্ত্রী যাই বলুন, শিক্ষকদের নিজেদের মধ্যে বিতর্ক আব্যাহত ! কোথাও বিতর্ক শিক্ষক- শিক্ষিকাদের স্কুলে আসতে হবে কিনা ! কোথাও বিতর্ক ছুটি দেওয়া উচিৎ হয়েছে কিনা !
এমন অবস্থায়, শিক্ষকদের কিছু কিছু সংগঠন এক ধাপ এগিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন ছুটির বিরুদ্ধে এবং শিক্ষা দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়েছেন। যদিও শিক্ষকদের একাংশ এই আন্দোলন বা ডেপুটেশন ভালো চোখে দেখছেন না !
আবার এই ভেদাভেদ প্রকট হয়েছে , ঘূর্ণিঝড় পেরিয়ে তাপমাত্রা আরও তেজী হওয়ার জন্য। অঞ্চল ভেদে আবার মতামত ভিন্ন - যেমন, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার তাপমাত্রা এমনিতেই রাজ্যের যেকোনো স্থানের চেয়ে বেশী থাকে তাই, শিক্ষকেরা এবং অভিভাবকরাও এই ছুটির পক্ষেই । কারন - বাঁকুড়া ,পুরুলিয়া বা বর্ধমান জেলার তাপমাত্রা এমনিতেই লাগামছাড়া হয়ে উঠে ।
তবে, হটাত কিছু কিছু শিক্ষক সংগঠন ছুটির বিরুদ্ধে এত সক্রিয় হয়ে উঠলেন কেন , সে প্রশ্ন ভাবাচ্ছে অবশ্যই। কারন সরকার তার বিজ্ঞপ্তিতেই জানিয়ে রেখেছেন পরিস্থিতি অনুযায়ী ছুটির নির্দেশিকা পরিবর্তন করা হতে পারে যেকোনো সময়।
পরিস্থিতি যাইহোক দেখা যাক , আন্দোলনের জেরে ছুটির কোন দিনক্ষণ পরিবর্তন হয় নাকি ছুটি তার তার পূর্ব পরিকল্পনা মত চলতে থাকে ।
এই জাতীয় তথ্যের যাবতীয় আপডেট আপনাদের ফেসবুকে পেতে লাইক করুন আপনাদের ফেসবুক পেজ ডিজিটাল বার্তা -
No comments:
Post a Comment