Digital Barta

Digital Barta - An online news portal 24Hours at your service. Here we Value the Genuine news only.

Don't Miss! Grab the Deal Now

Breaking

Sunday, 9 September 2018

" স্কুল শিক্ষার উন্নতিকরন থেকে শুরু করে ,... প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনা " - প্রতিটি বিষয়ে নিজের মতামত জানালেন জাতীয় শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র

" স্কুল শিক্ষার উন্নতিকরন থেকে শুরু করে ,...  প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনা " - প্রতিটি বিষয়ে নিজের মতামত ডিজিটাল বার্তা'কে  জানালেন জাতীয় শিক্ষক - অমিতাভ মিশ্র 

অমিতাভ মিশ্র - নামটা পুরুলিয়া  তথা পশ্চিমবঙ্গ বাসীর  কাছে আর অচেনা  নয়। সারা দেশের বাছাই করা ৪৫ জন শিক্ষকদের মধ্যে অমিতাভবাবু একজন । এ প্রসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া যাক - এবছর জাতীয় শিক্ষক হিসেবে  পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র একজনই মনোনীত হয়েছিলেন তিনি হলেন- পুরুলিয়া জেলার অমিতাভ  মিশ্র। তিনি বর্তমানে মানবাজার ১ নম্বর চক্রের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতীয় শিক্ষক - অমিতাভ  মিশ্র 

কাজ করার মানসিকতা আর সুদৃঢ় ইচ্ছাশক্তি আপনাকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে তা গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুলে না এলে বুঝতেই পারবেন না।! শুরুটা হয়েছিল কিন্তু শূন্য থেকেই! সদ্য বড়তোড়  প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে  পদোন্নতির সুবাদে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সালটা  ছিল ২০০৬ আর হাতে ছিল টিমটিম করে চলতে  থাকা একটি ভগ্নপ্রায় প্রাথমিক  বিদ্যালয় !!
ডিজিটাল বার্তা ফেসবুক  পেজ 

  [[  LIKE OUR FACEBOOK PAGE
 FOR EASY & QUICK UPDATE -> DigitalBarta  ]] 

আজ ২০১৮ । মধ্যেখানের  ১২টা বছরে আমুল পালটে গিয়েছে গোবিন্দপুর গ্রাম, গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষজন তথা গোবিন্দপুরের  পরিবেশ। আর সেই পরিবর্তনের রূপকার - পুরুলিয়া তথা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ বাসীর গর্ব  - অমিতাভ  মিশ্র।

২০০৬ সালে গোবিন্দপুর গ্রামে যে বৃক্ষটি তিনি লাগিয়েছিলেন ২০১৮ তে তার শাখাপ্রশাখা বিস্তার হল রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত। হ্যাঁ, এবার তিনি পাড়ি দিলেন তার কর্মকাণ্ডের ঝুলি নিয়ে পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দিল্লির রাজপথ অবধি।

দিল্লির রাজপথ মসৃণ হলেও সেই অবধি পৌঁছান কিন্তু মোটেই মসৃণ ছিল না । ২০০৬ সালে গোবিন্দপুর গ্রামের  গুটিকয়েক ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসতো মাত্র। কারন- গ্রাম পুরুলিয়ার বেশিরভাগ স্কুলেই  একটা  বড় সমস্যা - একদিকে অভিভাবকদের বোঝানো খুব মুশকিল অন্যদিকে  যারা স্কুলে আসে তারাও প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া!

পুরষ্কার নেওয়ার মুহূর্তে 
কিন্তু , মানুষের অসাধ্য বলে যে কিছু হয় না !! তাই,  তড়িঘড়ি মনস্থির করে ফেলেন রূপরেখা- শুরু হয় লড়াই -  শিশু শ্রম বনাম শিক্ষা , কুসংস্কার বনাম সচেতনতা, স্কুল ছুট বনাম ভর্তিকরণ !! এভাবেই  চলতে  থাকে  হার না মানার লড়াই !!

কাজ করতে করতে কখন যে ১২ টা বছর পেরিয়ে গেলো টেরই পাওয়া গেলো না!!
সাধারন মানুষের মনের মধ্যে প্রশ্ন অনেক কিভাবে একা হাতে আসম্ভবকে  সম্ভব করলেন তিনি !!?

আর তাই আমরা ডিজিটাল বার্তা পৌঁছে গেলাম ওনার  কাছে ওনার  কর্মকাণ্ড  সাধারনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে যাতে করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অদূর ভবিষ্যতে  আরও অনেক অমিতাভ  মিশ্র উঠে আসে প্রতিটি জেলায় জেলায়।

আমরা ডিজিটাল বার্তার পক্ষ থেকে কথা দিয়েছিলাম আপনাদের প্রশ্ন  পৌঁছে দেবো আপনাদের জাতীয় শিক্ষক অমিতাভ  মিশ্র মহাশয়ের কাছে............সেই মত আমরা আপনাদের প্রতিটি প্রশ্ন নিয়ে বসেছিলাম অমিতাভ  বাবুর সাথে।

স্কুল থেকে সমাজ...সমাজ থেকে সমষ্টি -  কথা হয়েছে প্রতিটি প্রসঙ্গে। এমনকি বর্তমান কালের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনার প্রসঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষায় অবহেলার অভিযোগ ! কথা হয়েছে প্রতিটি প্রসঙ্গেই। কি বললেন মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহাশয়।
স্বাবলিল ভাবেই উনি প্রতিটি প্রশ্নের ধরে ধরে উত্তর দিয়েছেন । ...আসুন দেখে নেওয়া যাক ওনার  কথায় উনি কি বললেন  ...।

 [[  LIKE OUR FACEBOOK PAGE
 FOR EASY & QUICK UPDATE -> DigitalBarta  ]

প্রসঙ্গত, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ১০টি প্রশ্ন নিয়ে যাওয়া  হবে ওনার কাছে । কিন্তু  ই-মেল আর ফেসবুক পেজ ডিজিটাল বার্তার (Digital Barta)মাধ্যমে প্রচুর  প্রশ্ন আসতে থাকে । তাই, প্রশ্ন সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া আর উপায় ছিল না ............

যেকোনো পরামর্শ পাঠান  আমাদের মেইল এ- digitalbarta18@gmail.com
চলুন আগে যে মানুষটির সাথে কথা বলতে চলেছি ওনার সংক্ষিপ্ত জীবন পঞ্জিকা দেখে নেওয়া যাক --
নাম - অমিতাভ  মিশ্র (প্রধান শিক্ষক )
বর্তমান স্কুল - গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালায়, চক্র- মানবাজার ১, জেলা - পুরুলিয়া ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা - স্নাতকোত্তর
শিক্ষকতার  পেশায় যোগদান - ১৯৯৫ সালের ১ ই মার্চ।

আগের স্কুল - বড়তোড় প্রাথমিক বিদ্যালায় ( সহ শিক্ষক )
সবমিলিয়ে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা - ২৩ বছর ৫ মাস ২৯ দিন ( ৩১ই অগাস্ট ,২০১৮ পর্যন্ত )

বিশেষ কৃতিত্ব - স্কুলের বিভিন্ন পুরষ্কার ছাড়াও ইনি এবছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা রত্ন এবং জাতীয় স্তরে নির্বাচিত ৪৫ জন জাতীয় শিক্ষকের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র ১জন ।

যে কোন খবর সরাসরি আপনার ই-মেল এ  পেতে সাবস্ক্রাইব করুন 
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

ডিজিটাল বার্তা - এত কম সময়ের মধ্যে কিভাবে আপনি কাজ করেছেন একটু  বলুন ?

অমিতাভ স্যার - ২০০৬ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ীতে গুটিকয়েক পড়ুয়া নিয়ে টিমটিম করে চলত স্কুল। শীঘ্রয় বুঝেছিলাম আসল সমস্যা প্রায় প্রত্যেকে প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া এবং আদিবাসী গ্রামটিতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে বিশেষ অনিহা ছিল।

তাই, সবার আগে গ্রামের অভিভাবকদের স্বাক্ষর করতে গ্রামে স্বাক্ষরতা কেন্দ্র স্থাপন এবং খেত মজুরদের জন্য নৈশ বিদ্যালায় পরিচালনা শুরু করলাম। তারপর ধীরে ধীরে পাড়া বৈঠক, গ্রাম বৈঠক ও মায়েদের সভা সহ স্বানিরভর দলগুলির সাহাজ্য নিলাম এবং ৫ বছরের ওপর প্রত্যেকটি শিশুকে
এটা আপনার জন্য - যদি আপনি লিখতে ভালোবাসেন 
বিদ্যালয়ে নিয়ে এলাম।
স্কুল ড্রপ-অউট এর কথা মাথায় ছিল তাই, ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ যতটা সম্ভব শিশু বান্ধব ও আনন্দঘন করার প্রতি জোর দিয়েছিলাম।

এবার কাজের পরিধিটা একটু বাড়ালাম। স্কুলের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এলাম  পাসের রাস্তায় । শুরু করলাম রাস্তা মেরামতি, রাস্তায় ফলের গাছ রোপণ, গ্রামের সবুজায়ান, পড়ুয়াদের নিজ নিজ বাড়ীতে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করতাম এবং তা কার্যকারী করার জন্য শুরু করেছিলাম শ্রেষ্ঠ বৃক্ষ- পালক এর পুরষ্কার। ( এটি ডিজিটাল বার্তা র সাক্ষাৎকার )
এরপর স্কুল আর শুধু স্কুল রইল না ! বলা ভালো স্কুল হয়ে উঠল - সমাজের ক্ষুদ্র সংস্করণ। তাই  শুরু হল - মদ ভাটি উচ্ছেদ, বাল্য বিবাহ রোধ, কুসংস্কারের জন্য সচেতনতা শিবির, শিশু শ্রম রোধ, জন্ম নিয়ন্ত্রনের সুফল সঙ্ক্রান্ত প্রচার পুস্তিকা তৈরি করে বিতরণ ।

গ্রামের মহিলাদের স্বানিরভর করার জন্য বাবুই ঘাসের কাজ, পাপোশ তৈরির কর্মশালার আয়োজন করা হত মাঝে মাঝে ।
গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালায় 
 ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠনের উন্নতির জন্য শ্রেণীকক্ষ, বারান্দা, গ্রিল। সিঁড়ি, পিলার , সিমানা প্রাচীর সহ সর্বত্র টিএল এম, অঙ্কন, ইতিহাস পাঠের মাইলস্টোন, সৌর ঘড়ি , মনিষীদের বানী , সংগ্রহশালা নির্মাণ, বিদ্যালায় গ্রন্থাগার তৈরি এসবের মাধ্যমে বিদ্যালয়কে বা বলা ভালো পড়াশোনাকে  যথাসম্ভব সহজ সরল ও ভিতিমুক্ত করে তুলতে চেয়েছি।

এ প্রসঙ্গে অবশ্যই স্বীকার করি যে, গ্রামের মানুষজনদের সহযোগিতা না পেলে কখনোয় এত বড় কাজ করে উঠতে পারতাম না । বিভিন্ন সময় গ্রামের মানুষজন নানান জিনিসপত্র বিদ্যালয়ে দান করে সুহৃদয়টার পরিচয় দিয়েছেন।

সাথে বিভাগীয় আধিকারিররাও যথাসম্ভব সাহাজ্য করেছেন।

ডিজিটাল বার্তা - ইতি পূর্বে কি কি পুরষ্কার পেয়েছে আপনার স্কুল ?
অমিতাভ স্যার - ১। শিশু মিত্র পুরষ্কার - ২০১৩
স্কুলের কালচারাল  অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা 
২। জেলার সেরা বিদ্যালায় - ২০১৪
৩। নির্মল বিদ্যালায় পুরষ্কার -২০১৫
৪। যামিনী রায় পুরষ্কার - ২০১৫
৫। রাজ্য সেরা বিদ্যালায় - ২০১৬
৬। স্বাচ্ছ বিদ্যালয় পুরষ্কার -  ২০১৭ ( জাতীয় স্তর )
৭। নির্মল বিদ্যালায় পুরষ্কার - ২০১২

ডিজিটাল বার্তা - আচ্ছা, কখন থেকে আপনার মনের মধ্যে স্কুলকে পালটে ফেলার তাগিদ অনুভব করলেন আপনি ?
অমিতাভ স্যার - ১৯৯৫ সালে যখন আমি  প্রথম বিদ্যালয়ে যোগদান করি তখন সেই স্কুলের আমার সহকর্মীদের নিয়ে কিছুটা কাজ শুরু করেছিলাম । কিন্তু , পরবর্তীকালে যখন প্রধান শিক্ষক হয়ে যোগ দিলাম বর্তমান স্কুলে তখন গুটিকয়েক ছাত্রছাত্রী ও ভগ্নপ্রায় বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখে মাথাটা কিছুটা বিগড়ে যায়!
সেই তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যেভাবেই হোক স্কুলের এই অবস্থা পাল্টাতেই হবে ! তারপর ধীরে ধীরে শুরু হল কর্মযজ্ঞ । স্কুলছুট কমানো ও শিক্ষার্থী বান্ধব আনান্দঘন পরিবেশ তৈরিতে জোর দিয়েছিলাম প্রথম দিকে। তারপর আসতে আসতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও স্কুল কে সামিল করি।

স্কুলের শ্রেণীকক্ষ 
ডিজিটাল বার্তা - " চারিদিকে এখন প্রাথমিক শিক্ষায় গেলো গেলো রব " - একজন প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে আপনি কি এটাকে সমর্থন করেন? আপনি কি মনে করেন প্রাথমিক শিক্ষায় পড়াশোনা বিশেষ কিছু হয় না ??
অমিতাভ  স্যার - না। আমি তা একেবারেই মনে করি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য কাজের অনিয়ম হলেও , সারা রাজ্যে প্রচুর শিক্ষক আছেন , যারা গভীর নিষ্ঠা আর আন্তরিকতার সাথে সমস্ত প্রতিকুলতা অতিক্রম করে প্রারম্ভিক শিক্ষা সুনিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিত আছেন সর্বদা।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অনিয়ম হয় সেটা অস্বীকার করা যায় না। তবে সার্বিকভাবে প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা হয়না সেটা বলা মোটেও সমীচীন নয়।

উল্টে, বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যা ও শিক্ষকের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশের লক্ষে অবিচল ও সেই উদ্দস্যে কাজ করে চলেছেন।

ডিজিটাল বার্তা - আপনার কি কিছু পরিকল্পনা আছে ...অর্থাৎ কোন চিন্তা ভাবনা যেটা করলে প্রাথমিক শিক্ষার মান আরও বাড়তে পারে ?
অমিতাভ  স্যার -  বিদ্যালয়ের  পরিকাঠামোগত   ঘাটতি দূর করা, শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা, বইএর বোঝা কমানো, নিয়মিত পরিদর্শন সহ মান উন্নয়নের জন্য পরামর্শ প্রদান , ই - লার্নিং সংক্রান্ত পরকাঠামো তৈরি এবং সর্বোপরি শিক্ষকদের শিক্ষা বহির্ভূত কাজের চাপ কমানো।
- সবার আগে এই বিষয়গুলি ঠিকঠাক করতে পারলেই অনেকটা সমস্যা  এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।
========================================================================
দেখুন অভিনব - 'তাল উৎসব' , আয়োজিত হল বাঁকুড়া'তে 
========================================================================
ডিজিটাল বার্তা - আচ্ছা, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকরা নিজেদের প্রাপ্য ন্যায্য বেতনের দাবিতে নানান রকম ভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন । এবাপ্যারে আপনার কি মতামত ?
আমিতাভ স্যার - দেখুন, পূর্বে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যামিক থাকলেও বর্তমানে নুন্যতম যোগ্যতা করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যামিক । তাই, সঙ্গত কারনেই উচ্চ মাধ্যামিক স্তরের বেতন কাঠামোর দাবি উত্থাপিত হয়েছে।

তাছাড়া, সর্বভারতীয় নিরিখে এখন পর্যন্ত আমাদের এই রাজ্যেই প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো সবচেয়ে কম। এই দাবীর প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি নিজেদের পেশাগত দায়বদ্ধতাও বাড়াতে হবে।এরফলে প্রশাসনের সদিচ্ছাও বাড়বে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------=======================================================================
পাঠান আপনার লেখা আর জিতুন পুরষ্কার 
শিক্ষক দিবস ও স্বাক্ষরতা দিবস  উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আপনাকে শুধু পাঠাতে হবে আপনার চিন্তা ভাবনা - " কিভাবে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যাবস্তা আরও উন্নত করা যাবে " ( প্রাথমিক / মাধ্যামিক )


শব্দ সংখ্যা - সর্বাধিক ১০০০। ভাষা- বাংলা ।লেখা পাঠাবেন - digitalbarta18@gmail.com OR 'CONTACT US' এর মাধ্যামে । লেখার সাথে আপনার পুরো ঠিকানা ও ফোন নম্বার দেবেন।

সবচেয়ে সেরা চিন্তাধারার ও বাস্তব ধর্মী লেখাটিকে পুরস্কৃত করা হবে বিশেষভাবে এবং ছবি সহ  প্রকাশ করা হবে ডিজিটাল বার্তা পেজে। 
পুরষ্কার ঘোষণা করা হবে - প্রতিযোগিতাটি শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে। প্রত্যেকের ই-মেল মারফৎ বিজয়ীর নাম পাঠানো হবে।

FOR MORE DETAILS CLICK HERE - "PARTICIPATE, SHARE & WIN "

=======================================================================


ডিজিটাল বার্তা - ভবিষ্যতে কি কি পরিকল্পনা আছে আপনার স্কুল কে নিয়ে ? একটু বলুন ।
আমিতাভ স্যার - ভবিষ্যতে প্রতিটি শ্রেণীকক্ষকে পেপার বিহীন অর্থাৎ ডিজিটাল করা, প্রাক-প্রাথমিকের জন্য টিভি, খেলনা, নানান ধরনের অ্যাপস সহ প্রোজেক্টর এর বাব্যস্থা করা।

পড়ুন-  স্কুল শিক্ষিকাদের নাচ - বিশ্লেষণী মতামত
মধ্যাহ্ন কালীন আহারের জন্য - বিদ্যালয়ের মধ্যেই জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ সহ সারা বছরের সবজি উৎপাদন করা।
এছাড়াও, স্মার্ট টয়লেট, ই-লাইব্রেরি, মুক্তমঞ্চ নির্মাণ, বিদ্যালয়সহ সারা গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ।
আর স্বানিরভরতার জন্য নানান ধরনের হাতের কাজ শেখানোর কর্মশালার আয়োজন করা। এগুলোই ভবিষ্যতে রুপায়ন করার চেষ্টা থাকবে।

ডিজিটাল বার্তা - শিক্ষকদের উদ্দস্যে কিছু বার্তা বা মেসেজ যদি থাকে ?
অমিতাভ  স্যার - আমি সহ আমাদের  প্রত্যেককে  পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি সহ অনান্য চাকুরীজীবীর থেকে পৃথক একটি স্বত্তা তৈরি করার প্রচেস্টা নিতে হবে। শিক্ষক সমাজের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।

ডিজিটাল বার্তা -  আপনার প্রিয় কোন বানী একটা বলুন যেটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে ?
অমিতাভ  স্যার - " মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণত্বের প্রকাশসাধন কে বলে শিক্ষা " - স্বামিজি। এটাই বোধহয় যথার্থ শিক্ষা। 

ডিজিটাল বার্তা - মাননীয় প্রধান মন্ত্রি ও রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা হয়ে কেমন লাগলো এবং ওনারা কি বললেন শেয়ার করুন সবার সাথে ।
অমিতাভ  স্যার -  দেশের শীর্ষতম দুইজন পদাধিকারীর সাথে সরাসরি কথা বলা , ছবি তোলা, শিক্ষকদের সাফল্য ও সমস্যার কথা তুলে ধরা ইত্যাদি, একটি অখ্যাত গ্রামের একজন অতি সাধারন প্রাথমিক শিক্ষকের কাছে খানিকটা দিবাস্বাপ্নের মতো ।স্বাবাভিক ভাবেই অত্যন্ত উদ্বেলিত হয়ে গিয়েছি। এইরকম দুটি আনান্দঘন মুহূর্ত জীবনের সেরা প্রাপ্তি।

এপ্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী আমার বিদ্যালয়ে আসার আমন্ত্রন পেয়ে আপ্লুত। তিনি কমিউনিটিকে আরও বেশী করে যুক্ত করার কথা বলেছেন।
মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়া গঠনের পাশাপাশি " সাবকো শিক্ষা ...... আচ্ছি শিক্ষা " - এই স্লোগান বাস্তবায়িত করার  পরামর্শ দিয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টুইট 
মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহাশয় দেশের বাইরে থাকায় আগামী অক্টোবর মাসে আমাদের সাথে মিলিত হবেন।

ডিজিটাল বার্তা - এবার আপনি নিজের ইচ্ছায় কিছু বলুন ।
অমিতাভ  স্যার - সবিনয়ে জানায় যে, গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালায় রাজ্যের বা কেন্দ্রের সব পুরষ্কার পেয়ে গেছে বলে বা শিক্ষক হিসেবে এবছর একই সাথে জাতীয় ও রাজ্য স্তরের সম্মান পেয়ে গেলাম বলে আমার বা আমাদের বিদ্যালয়ের সব ঘাটতি দূর হয়ে গেছে এমন দাবী করা যায়না।
নানান সমস্যার মধ্যেও বিদ্যালয় ও গ্রামের উন্নতির জন্য আমাদের যে প্রচেস্টা জারী আছে তা অটুট রাখতে উভয় সরকার, শিক্ষা বিভাগের আধিকারির সহ সমাজের প্রতেকের সহযোগিতা আমাদের পাথেয় হোক।

সর্বোপরি একটি বিদ্যালায় বা একটি গ্রামের বিকাশ ঘটিয়ে কোন লাভ হবেনা। তাই, এরকম হাজার হাজার গোবিন্দপুর তৈরি করে সারা রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে গন-উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
আসুন - সবাই মিলে সামাজটাকে পাল্টে দেওয়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি......... যা রাজ্য তথা দেশের সার্বিক বিকাশে আমাদের অবদান হিসেবে পরগনিত হবে।

ডিজিটাল বার্তা - ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার এত ব্যাস্ততার মাঝেও ডিজিটাল বার্তা কে আপনার মুল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।
অমিতাভ  স্যার - ধ্যনবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পেন তুলুন আর লিখে পাঠান- " কিভাবে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যাবস্থার আরও উন্নতিকরন করা সম্ভব( প্রাথমিক/মাধ্যামিক)
সেরা লেখাটি প্রকাশ করা হবে লেখকের ছবি সহ আর পুরস্কৃত করা হবে ।
পাঠান আপনার লেখা আর জিতুন উপহার 
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
1 TRILLION DOLLAR COMPANY AMAZON HACKED - READ THE FULL  NEWS HERE 
#AMAZON HACKED !! 
=======================================================================





--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------











































No comments:

Post a Comment